সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গাঁও গেরাম

শহীদ মোহাম্মদ হাসানের দাফন সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল

আরিফুর রহমান, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
২৫ মে ২০২৫

চট্টগ্রামের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে শহীদ হওয়া কোরআনের হাফেজ ও সাহসী তরুণ মোহাম্মদ হাসানের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (২৫ মে) সকাল ৯টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চেউয়াখালি বাজার সংলগ্ন তরিকউল্যাহ সমাজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এই স্থানেই তার চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। জানাজায় অংশ নিতে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিপুলসংখ্যক মানুষ ভিড় করেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জানাজার পূর্বে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শহীদ হাসান ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। তার আত্মত্যাগ দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।" জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনি শহীদ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, "শহীদরা আখিরাতে সর্বোচ্চ পুরস্কারের অধিকারী হন। শহীদ হাসানের রক্ত যেন আর কোনো স্বৈরাচারী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ না দেয়।"

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হাসান। প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার সিএমএইচ, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে এবং সর্বশেষ পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

উত্তেজিত জনতার হাত থেকে কিশোরকে উদ্ধার করলেন এক সাহসী বিচারক
সুবর্ণচরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপনার মতামত লিখুন