নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দিনব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বুধবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউট (ডব্লিউআরআই)-এর সহযোগিতায় এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে “বাংলাদেশে স্থানীয় নেতৃত্বাধীন জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা উন্নত করতে পার্টনারশিপ গঠন” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মা। তিনি বলেন, “এই কর্মশালায় স্থানীয় জনগণ তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছে এবং যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন নবী, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং মেরিন ফিশারিজ অফিসার তাপস কুমার শীল।

কর্মশালায় চরক্লার্ক ইউনিয়ন জলবায়ু অ্যাকশন ফোরামের ৯ জন নারী ও ২৩ জন পুরুষসহ মোট ৩২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। ফোরামের সদস্যরা চিত্রায়নের মাধ্যমে দলভিত্তিক জলবায়ু সংকট ও সমাধান পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, “বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য রেইনওয়াটার ব্যাংক তৈরি জরুরি। ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার বাড়লেও অতিবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও জনসচেতনতাই জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পথ।”

সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন নবী সরকারি সেবার তথ্য তুলে ধরে অসহায়, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধীদের সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।

কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, “সুবর্ণচরে সবচেয়ে বেশি কৃষি উৎপাদন হয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে কীটনাশক ব্যবহারে অনেক কৃষক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে কৃষি স্কুল চালু করা হয়েছে।”

প্রাণ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাহিদ মোহাম্মদ ইমরান প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় অংশীদারিত্ব ছাড়া জলবায়ু অভিযোজন কার্যকর হবে না।”

কর্মশালাটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।