শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেখা থেকে লেখা

পুকুর ভর্তি সিলেট মাজারের সদৃশ গজার মাছ

অনলাইন ডেস্ক
২৫ আগস্ট ২০২২

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধানডোবা গ্রামের ওয়াছেল বেপারীর পুকুরের সিলেটের শাহজালাল (রহ:) মাজারের সদৃশ বিশাল আকৃতির শত শত গজার মাছ রয়েছে। প্রতিদিন এই মাছ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন। গজার মাছের জন্য এলাকায় ওই স্থানটি এখন পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিত।

খবর নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ বিশেষ দিনে ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে গজার মাছ দেখতে উপস্থিত হন শত শত দর্শনার্থী। অসংখ্য পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন, মানত করেন রোগ মুক্তির আশায়। প্রচলিত বিশ্বাসে তারা গজার মাছের খাবার হিসেবে ছোট ছোট মাছ ও মুরগি নিয়ে আসেন। কোনো কোনো পরিবারের সদস্যরা বিপদ আপদ থেকে মুক্তি ও রোগব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভের আশায় গোসল করেন গজার মাছের ওই পুকুরে। এ মাছগুলো পুকুরের ঘাটলায় মানুষের টের পেলে কিনারায় চলে আসে। ভয় পায় না, আনন্দে উল্লাস করে। মানুষের হাত থেকে খাবার নিয়ে খায়।

ওয়াছেল বেপারীর (পুতি) ও স্থানীয় মোক্তার বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পূর্ব পুরুষ ওয়াছেল বেপারী ছিলেন সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের ভক্ত। সেই সুবাদে তিনি প্রতি বছর ওরসে প্রতিনিয়ত আশা যাওয়া করতেন। সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের খাদেমের কাছে শত বছর পূর্বে মাজারের পুকুরের গজার মাছ নিয়ে তিনি (ওয়াছেল) নিজের পুকুরে লালন পালনের আবদার করেন। ওয়াছেল বেপারীর আবদার পূরণ ও তাকে খুশি করতে সিলেট মাজারের খাদেম গ্রামের খালবিল থেকে এক জোড়া গজার মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালন করতে বলেন। পীর শাহজালাল (রহ:) আশীর্বাদে পুকুরের ছোট মাছ দুটো অলৌকিক কুদরতে হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের গজাল মাছে পরিণত হবে।

ওয়াছেল বেপারী মাজারের খাদেমের কথা বিশ্বাস করে তিনি বাড়িতে ফিরে একজোড়া গজার মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালন করেন। সময়ের ব্যবধানে তার পুকুর গজার মাছে ভরে যায়। সেই শত বছর পূর্ব থেকে আজ অবধি ধানডোবা ওয়াছেল বেপারী বাড়ির গজাল মাছ সিলেট মাজারের গজাল মাছের ন্যায় এলাকার মানুষ ও ভক্তবৃন্দের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই গজার মাছগুলো হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের আশীর্বাদের নেয়ামত। তাই আমরা সবসময় গজার মাছের পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করে থাকি। এ মাছ কেউ ধরে খায়না। মারা গেলে মাটিতে পুতে রাখি।

গৌরনদীর বার্থী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদার জানান, ধানডোবা গ্রামের ওয়াছেল কারিকরের বাড়ির পুকুরের গজার মাছ দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। যে কারণে এলাকায় ওই স্থানটি এখন পর্যটক স্পট হিসেবে পরিচিত বলে তিনি জানান।

সিকিমে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড়
পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর

আপনার মতামত লিখুন