নোয়াখালীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু: বাবার অভিযোগ মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দিলিলপুর গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, সুমি আক্তার (২৩) নামের ওই তরুণীকে যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সুমি আক্তারের বাবার নাম মোঃ আবদুর রব। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে স্বপ্ন নিয়ে সংসার শুরু করেছিল, কিন্তু সেই স্বপ্নটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার স্বামী মোঃ ইসমাইল হোসেন, শাশুড়ি হাজেরা বেগম এবং দেবর মোঃ ইয়াছিন যৌতুকের জন্য নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।”
সুমি আক্তারের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন একটি ছাগল ও আসবাবপত্রের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অর্থ সংকটের মধ্যেও পরিবার থেকে ১৫,০০০ টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও তাদের লোভ মেটেনি।
গত ৯ জুন, রাত ১০:৪০ মিনিটে সুমির পরিবারের কাছে খবর আসে “সুমি মাথা ঘুরে পড়ে গেছে” বলে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে পরিবার জানতে পারে সুমি আর বেঁচে নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক উল্লেখ করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের বাবা মোঃ আবদুর রব বলেন, “আমি নিশ্চিত, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি থানায় এজাহার দিয়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে আবেদন করছি— এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যেন অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই না পায়।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় থানার একটি সূত্র জানায়, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সুমির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন