শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল

অনলাইন ডেস্ক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। পদ্মা সেতুর ফলশ্রুতিতে আগের চেয়ে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু প্রায় সময়ই সমুদ্রস্নানে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান পর্যটক। নিখোঁজ হন অনেকেই। কিন্তু পর্যটকদের উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিনেও এখানে গড়ে ওঠেনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।

বরগুনার আমতলী এবং কলাপাড়ার স্টেশনটি কুয়াকাটা থেকে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজ হয়ে যান ভেসে যাওয়া পর্যটক। ততক্ষণে জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

গত ২১ আগস্ট সৈকতে গোসলে নেমে দুই বন্ধু ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান। এ সময় পাশে থাকা অন্য পর্যটকরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন পারভেজ। তিন ঘণ্টা পর তার নিথর দেহ ভেসে আসে সৈকতে। পরদিনও ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান আরও তিন পর্যটক। এদের মধ্যে স্থানীয়ারা দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করে। বাকি একজনের মরদেহ একদিন পর তীরে মিলে। এ অবস্থায় সমুদ্রস্নানে নামতে পর্যটকদের মাঝে ভীতি কাজ করছে।

নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখানকার পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে। এজন্য দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুয়াকাটা পৌরমেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য সচিবালয় ও মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। তারা কুয়াকাটায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে।    

অবশ্য আধুনিক মানের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই এটা প্রতিষ্ঠিত হবে।

কুয়াকাটার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, গত ১২ বছর লাখের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে এ বছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। 

ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে যা করবেন
নজর কেড়েছে তেঁতুলিয়া পাড়

আপনার মতামত লিখুন