‘পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠতে পারে অন্যতম হাতিয়ার’
বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পর্যটন শিল্পের সংযোজন শুধু আর্থিক সফলতা বয়ে আনবে না সেই সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে এর সুফল ছড়িয়ে দেবে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।
শনিবার (৮ জুন) “টেকসই স্মার্ট পর্যটন গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এ কথা বলেন। বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মার্কেটিং ডিসিপ্লিনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, পর্যটন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল, অতি বৈচিত্র্যময় এবং শ্রমঘন একটি শিল্প, যা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এডভেঞ্চার ট্যুরিজম একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ, ট্যুরিজম বিহেভিয়ারের জায়গায় কাজ করতে হবে। পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমে একটি টেকসই টুরিজম নিশ্চিত করা যেতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ রক্ষা পায় এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য (ইকোলজিক্যাল ব্যালান্স) ও মানুষের আর্থসামাজিক সাম্য বজায় থাকে তাই টেকসই উন্নয়ন। বাংলাদেশে পর্যটনের যাত্রা অনেক আগে শুরু হলেও নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আজকে আশার আলো ছড়াচ্ছে। অপার সম্ভাবনাময় আমাদের এই বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার একটি আদর্শ পর্যটন এলাকা, যা শুধু অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করবে না, পাশাপাশি বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমর্যাদাকে তুলে ধরবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আহমেদ মূলপ্রবন্ধে বলেন, অভ্যন্তরীণ বা লোকাল ট্যুরিজমের বাজারটা সুন্দর করতে হবে, তাতে সময় দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশে টেকসই ট্যুরিজম আশা করতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন