ঢাকা বিভাগের ১০টি মনোরম স্থান
ঘুরতে কে না ভালোবাসে! এই ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? যারা এক দিনের জন্য ঢাকার আশপাশে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গা খুঁজছেন, তারা জেনে নিন ঢাকা বিভাগের আশপাশের জেলাগুলোতে অবস্থিত এমন ১০টি মনোরম জায়গার নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য।
জল-জঙ্গলের কাব্য: জল-জঙ্গলের কাব্য গাজীপুর জেলার পুবাইলে অবস্থিত। নগরজীবন থেকে বের হয়ে খোলামেলা গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে এর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হয় না! প্রায় ৯০ বিঘা জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এটি। সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের স্ন্যাক্স ও রাতের খাবারসহ জনপ্রতি খরচ পড়বে ৩ হাজার টাকা।
সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর: সোনারগাঁ জাদুঘর ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার পানাম নগরে অবস্থিত একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে শীতকালে মাসব্যাপী বসে লোকশিল্প মেলা। প্রতি শুক্র থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাদুঘরের গেট খোলা থাকে। টিকিটের মূল্যও কম, জনপ্রতি ২০ টাকা মাত্র।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি গ্রামে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়ির বিশাল সব স্থাপনা আপনাকে নিঃসন্দেহে অবাক করবে। প্রতি সপ্তাহে রবি ও সোমবার অর্ধবেলা ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য গেট উন্মুক্ত থাকে।
ড্রিম হলিডে পার্ক: ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশেই নরসিংদী জেলায় অবস্থিত অন্যতম থিম পার্ক। পরিবার-পরিজন নিয়ে সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিকের আয়োজন করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। রাতে থাকার জন্য রয়েছে রিসোর্টের সুব্যবস্থা আর প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা।
পদ্মা রিসোর্ট: পদ্মা রিসোর্ট ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত। নদী পাড়ের ও কাঁশফুলের অপূর্ব দৃশ্য যারা খুঁজে বেড়ান, তারা চাইলেই ঢু মেরে আসতে পারেন এখান থেকে। গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। কটেজের ভেতরে আছে রেস্টুরেন্ট, রিভার ক্রুজ ও খেলাধুলা করার বিশাল জায়গা।
যমুনা রিসোর্ট: যমুনা রিসোর্ট টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মাঝে যমুনা সেতুর কাছেই অবস্থিত। পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও ভেতরে রয়েছে সুইমিংপুল, খেলাধুলার ব্যবস্থা, জিম ও অন্যান্য সুবিধা। খরচ পড়বে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানেও রিসোর্টটি বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে থাকে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি অবস্থিত। পার্কের ভেতরের অংশকে আবার ৫টি অংশে ভাগ করা হয়েছে- কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান ডাইভার্সিটি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা।
নিকলী হাওর: খোলামেলা পরিবেশে স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর থেকে। ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে যেতে পারেন কিশোরগঞ্জ শহরে, সেখান থেকে সিএনজিতে করে নিকলী ঘাট। ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে দেখুন হাওর। মনে রাখবেন, বর্ষার শেষ দিকে হাওর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
নকশী পল্লী: নকশী পল্লী পূর্বাচল বালু নদীর পাশে অবস্থিত। অনেকে এটিকে ঘোরার জায়গা মনে করলেও নকশী পল্লী মূলত একটি রেস্তোরাঁ। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে এসে খাবার উপভোগ করা আপনাকে নিঃসন্দেহে দেবে এক অসাধারণ অনুভূতি। তা ছাড়া সময় পেলে বোটে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন নদীতে।
জিন্দা পার্ক: কম সময় ও কম খরচে ঘুরে আসার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্ক। ঢাকা থেকে দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। খাওয়া-দাওয়ার জন্য পার্কের ভেতরেই রেস্টুরেন্ট আছে। এ ছাড়া রাতে থাকার জন্যও আছে গেস্ট হাউস। প্রবেশ টিকিট জনপ্রতি ১০০ টাকা। প্রকৃতি মানুষের মনকে ভালো করে দেয়। আর তা যদি হয় প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো তাহলে তো কথাই নেই। সবুজের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক ভালোবাসার উষ্ণতা। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স।
আপনার মতামত লিখুন