গল ফোর্ট : ঐতিহাসিক ব্যতিক্রমী দুর্গ
গল ফোর্ট বা গল দুর্গ অন্যান্য দুর্গের চেয়ে ব্যতিক্রমী। সাধারণত দুর্গ বলতে বুঝি রাজা বাদশাহ বা সৈন্যদের আস্তানা; সেই সঙ্গে হাতি ঘোড়া গোলাবারুদের জায়গা। সাধারণের নাগালের বাইরে অথবা দুর্ভেদ্য কোনো জায়গা। সুরক্ষিত এবং সবার প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার গল দুর্গ সেই তুলনায় অন্যরকম। সেখানে জমিদার বা রাজাবাদশাহ কেউ থাকতেন না। দখলদারদের একজন প্রতিনিধি থাকতেন। সে-ও বাণিজ্য প্রতিনিধি। একভাগে স্থল থাকায় উত্তর দিকটা কিছুটা বেশি সুরক্ষিত ছিল। যাতে স্থল হামলা সহজেই মোকাবিলা করা যায়। এছাড়া তিন দিকে জল থাকায় পাহারা দিতে সুবিধে হতো। খালি চোখে অথবা দূরবিনে সব দৃশ্যমান হতো।
তবে আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে আরো কিছু বিষয়। দুর্গের ভেতরে সৈন্য সামন্ত, ধনরত্ম এসবইতো থাকে। পাশাপাশি গল ছিল আরো বিচিত্র। এই বিশাল দুর্গের ভেতরেই ছিল আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরাই খানা, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন স্পট, সব ধর্মের প্রার্থনা করার আলাদা জায়গা ইত্যাদি। বলা চলে এর ভেতরে সবকিছু ছিল। দুর্গের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন না পড়ত না। এত হিসেব নিকেষ করে দুর্গ বানানো আগে চোখে পড়েনি।
এখন অবশ্য গল দুর্গে যোগ হয়েছে আরো কিছু বিষয়। যেমন এর ভেতরে আছে জাদুঘর বা মিউজিয়াম, ম্যজিস্ট্রেট কোর্ট, লাইটহাউজ (সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য পথ প্রদর্শক আলো, এটি অবশ্য আগেও ছিল, সংস্কার হয়েছে), গহনা ও অলঙ্কারের দোকান, লাইব্রেরি ইত্যাদি।
৩৬ একর জায়গা নিয়ে এই দুর্গ। তবে আমার কাছে মনে হলো দুর্গটি হয়তো আরো বড়। দক্ষিণ পশ্চিম কোণ থেকে পূঁবদিকে হাঁটছিলাম। সহকর্মী ফিরোজ আলম আর মিলটন আহমেদ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলা নিয়ে। আমি ব্যস্ত দুর্গের সৌন্দর্য উপভোগে। এখানে যারা বাস করেন এবং করতেন তারা আর যাই হোক সমুদ্র উপভোগ করতেন মন ভরে। তিন দিক থেকে খোলা। আর তাই মাতাল হাওয়ার অবাধ্য আষ্ফালন। মহাসমুদ্রের জলরাশি এসে আছড়ে পড়ছিল দুর্গের দ্বারে। এখানে যারা বাস করেন তারাই তো প্রকৃত রাজা-রানী।
বার্ডস আই বা পাখির চোখে দেখা যাচ্ছিল পরিকল্পিত কিছু স্থাপনা। ঠিক যেন প্রায় বর্গাকৃতির একটি আয়তক্ষেত্র। দক্ষিণ পশ্চিমে দৈর্ঘ্য বেশি। তবে সবকিছু আলাদা, দেয়াল দেয়া। যাতে একটার পরিবেশ আরেকটাকে প্রভাবিত করতে না পারে। নানা ধর্মের নানা মতের মানুষের বসবাস ছিল সেখানে। কেউ হয়তো প্রার্থনা করত, কেউ যেত বাঈজি ঘরে। ব্যবস্থা ছিল সব রকমের। ওখানে যারা বাস করেন তারাও সেই রাজকীয় পরিবেশই পাচ্ছিলেন। রাজমহলের ফ্লেভার ছিল, আছে এখনো। জীবন ক-দিনের, সেটা যদি এরকম রাজসিক হয় মন্দ কি?
আগের পর্বে বলেছিলাম গল কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে অনেক কিছুর সাক্ষী। কালের সাক্ষী। বিশেষ করে হিন্দু পূরাণের অনেক ঘটনা আছে এই গল বা সংলগ্ন উনাবাতুনা বিচকে নিয়ে। রামায়নেও এই জায়গার কথা বলা হয়েছে। গন্ধর্ব বা স্বর্গীয় সংগীত পরিবেশনকারীরা নাকি থাকতেন এখানে। এলাকা পাহারা দিত রাবণের রাক্ষসরা! রাক্ষসদের চলাচলের জন্য পানিতে বড় বড় পাথরের ঢিবি ছিল, আছে এখনো। রাবণের কবল থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন লক্ষণ। তাকে বাঁচাতে হুনুমান গিয়েছিলেন ওই এলাকায়। সেখান থেকে ওষুধি গাছ নিয়ে লক্ষণকে সারিয়ে তোলা হয়েছিল।
গল দুর্গের ভেতরে এখনো অনেক মুসলমানের বাস। আছে চমৎকার একটি মসজিদও। এরও ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাণিজ্যের জন্য পূর্বদিকে যেত সবাই। কারণ দক্ষিণে কোনো ভূখন্ড নেই। পশ্চিমে তখন গরিব এবং দখলবাজ, দস্যু প্রকৃতির মানুষের বসবাস ছিল। উত্তর দিকটায় ভূ-ভাগ ছিল বলে যাতায়াতে সমস্যা হতো। অন্যদিকে তখন জলপথে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন ছিল অধিকতর সহজ। মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা পূবদিকে বাণিজ্য করতে গিয়ে গলে যাত্রা বিরতি করতেন। বণিক এবং নাবিকদের জন্য গল ছিল তখন গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার মানুষজনও ছিল তখন পিছিয়ে পড়া, দরিদ্র। তখন আরব্য বণিকরা ধীরে ধীরে সেখানে তাদের আস্তানা গড়ে তোলে। যে কারণে তাদের মাধ্যমে সেখানে মুসলিমদের বসবাস শুরু হয়। পরে তাদের বংশধরেরা থেকে যান সেখানেই। অনেক মুসলিম ভ্রমণকারীর লেখাতেই দেখলাম দুর্গে মুসলমান এবং বিশেষ করে মসজিদ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কিন্তু মন্দির বা প্যাগোডা গির্জা নিয়ে তাদের লেখাতে কিছু নেই। ঐতিহাসিক কারণ না জেনেই তারা বিস্মিত হন। মানুষের বসবাস যেখানে দেখবেন, সেখানে আর কিছু না হলেও প্রার্থনালয় থাকবেই। কারণ শাসকরা জানতেন, শোষণ করার বড় হাতিয়ার সেটা। মানুষগুলোকে শান্ত এবং অনুগত রাখার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তবে এটা ঠিক যে, অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে গল দুর্গের মসজিদটাই বেশি সুন্দর, বাড়ির মত। গির্জাও সাদা রঙের।
জানা গেল, পর্তুগিজরা গল থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করেছিল। এরপর ওলন্দাজরা দুর্গের দখল নেয়। তাদের সময়ে এই ‘গল মিরা মসজিদ’ নির্মাণ কার হয়েছিল ১৭৫০ সালে। দুর্গের কাজ করানো হতো মোজাম্বিক এবং ইন্দোনেশিয়ার দরিদ্র শ্রমিকদের দিয়ে। ১৭৯৬ সালে দুর্গ দখল করে নিয়েছিল ইংরেজরা। ১৯০৪ সালে মসজিদ-মন্দিরগুলোর সংস্কার হয়। শুধু মসজিদ নয়, পুরো স্থাপনাই পর্যায়ক্রমে সংষ্কার হচ্ছিল। হচ্ছে এখনো।
এখন দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে উপভোগ্য দুর্গের চারদিকে পায়ে হেঁটে বেড়ানো। তবে রাস্তার সংষ্কার করে কোনো মোটরযানে দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করতে পারলে সময় বাঁচবে। সবাই দেখতেও পারবে। অন্যদিকে ইনকামও হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই এক সমস্যা। পয়সা খরচ করে, জায়গা মতো করতে পারে না।
তবে গল দুর্গের প্রতীক বলা চলে মূল ফটকের পশ্চিম পাশের সেই ক্লক টাউয়ার। ঘড়িটি কত সালে স্থাপন করা হয়েছিল সেটি পাওয়া গেল না। স্যামসন ব্রিউ রাজাপাকশে এই ঘড়ি স্থাপন করেন। টাউয়ারের চারপাশেই ঘড়ি লাগানো। যে কারণে চারপাশ থেকেই দেখা যাচ্ছিল। তবে আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে এর দক্ষিণের খোলা অংশ। অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা হিমেল হাওয়া ভুলিয়ে দিচ্ছিল সব দুঃখকষ্ট।
সূর্য তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছিল আরো। ফিরতে হবে কলম্বো। ট্রেনের ফিরতি টিকিট নিইনি। বাসে ফিরব। কটা পর্যন্ত বাস চলে জানা ছিল না। তাই তাড়া ছিল। ততক্ষণে তৃষ্ণা পেয়েছিল। এর আগেরবার এই গলে গিয়েছিলেন ফিরোজ এবং মিলটন। তাদের মুখে একটা রেস্টুরেন্টের গল্প শুনেছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি এসেছিল। তারা দৌড়ে ওইখানে গিয়েছিলেন। ভাপউঠা গরম কফি এবং বৃষ্টিধারার ধোঁয়াশা, দক্ষিণের খোলা সৈকত সবমিলিয়ে তাদের অসাধারণ লেগেছিল। ওখানে কিছু আবাসিক হোটেলও আছে। তবে সেসব ক্ষুদ্র পরিসরে, অনেকটা বাসা বাড়ির মতই।
দুর্গের প্রাচীর থেকে নিচে নেমে সুন্দর পাথর বসানো পথ দিয়ে হাঁটছিলাম। ডাব ছিল রাস্তার পাশে। কিন্তু দোকানী ছিল না। হলদে রঙের ডাবকে শ্রীলঙ্কানরা কিং ককোনাট বলে। বেনটোটা সৈকতে গিয়ে একবার খেয়েছিলাম। অনেক স্বাদু জল। দুর্গের পশ্চিম কোণ আর বাড়ি ঘরের মাঝে একটু খোলা জায়গা ছিল। একটা পাকোড় গাছের নিচে ছিল ছোট্ট রেস্টুরেন্ট। তার পাশেই এক চিলতে ঘাসের মাঠ। সেখানে কয়েকটা মেয়ে তাদের চেয়ে কম বয়সী দুটো ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিকেট খেলছিল। এর আগে মেয়েদের এভাবে পাড়া মহল্লার পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে দেখিনি। সেটা দেখেই বোঝা গেলো ক্রিকেট সেখানে কতটা জনপ্রিয়।
সেই রেস্টুরেন্টে গেলাম। যার স্মৃতি ওই দুই সহকর্মী এখনো বয়ে বেড়ান। সরু সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলাম তিন তলায়। ছোট্ট জায়গার ওপর। বারান্দাও ছোট। নিচ তলায় ছোট পাঁশমিশালী দোকান। দু-তলায় বোর্ডিং। তিন তলায় সুন্দর গোছানো রেস্টুরেন্ট। শ্রীলঙ্কা ট্রপিক্যাল (গ্রীষ্মমণ্ডলীয়) কান্ট্রি। আমাদের দেশের চেয়েও গরম একটু বেশি। হাঁপিয়ে উঠেছিলাম হাঁটতে হাঁটতে। আর কোনো আগন্তুক ছিল না তখন। অনেক পরে দুই ফরাসী মেয়ে খাবার অর্ডার দিয়েছিল। ফরাসীরা হয়তো উত্তরসূরীদের কর্ম দেখতে গিয়েছিলেন।
ঠান্ডা কোকের অর্ডার হলো। বসে তাই গিলছিলাম। গিলছিলাম সমুদ্রের ‘গলীয়’ সৌন্দর্য। হুমায়ূন আহমেদ তার মৃত্যু চেয়েছিলেন চাঁদনি পশর রাতে। এমন সমুদ্রের পাড়ে খোলা হাওয়ার মৃত্যুও নিশ্চয় কেউ কেউ চাইবেন। খানিকটা ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম গল নিয়ে নাক গলানো ভালোই হয়েছে। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল। সেটির আবার দুটি পর্ব আছে। প্রথম ধাপের ৩৯ পর্বকে বলা হয় ওল্ড টেস্টামেন্ট। পরের ধাপের ২৭ পর্ব নিউ টেস্টামেন্ট। ওই নিউ টেস্টামেন্টে নাকি গলের উল্লেখ আছে। গলে নাকি সোলায়মান বাদশাহ তার বাণিজ্য নৌকা পাঠিয়েছিলেন। তবে সোলায়মান বাদশাহতো আরো পরের কাহিনি হওয়ার কথা। ৬১০ সালে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পরে। হতে পারে সোলায়মান নবী। ওই নবীকে অনেকে যাদুকর হিসেবেও দেখতেন। যাদুর বলে তিনি মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। শোনা যায়, মৃত্যুর পরেও নাকি তিনি জ্বীন দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছেন। যাক, এসব শুনতে ভালোই লাগে।
হেঁটে হেঁটে আবারো ফিরলাম ক্লক টাউয়ারের কাছে। যেখানে ব্রোঞ্জের সেপাই মূর্তি বসানো। পূর্ব পশ্চিমে লম্বা মূল স্থাপনার নিচেই ছিল দুর্গের প্রধান গোপনীয় ঘরগুলো। এর ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট গুহা। নির্মাণের সময় এর নিচ দিয়ে বড় সূড়ঙ্গ পথ ছিল সমুদ্রের পাড় পর্যন্ত যাওয়ার। দুর্গের গঠন এবং নির্মাণশৈলি অনেকটা ঢাকার লালবাগ কেল্লার মতই। লালবাগ দুর্গেও বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত গোপন সূড়ঙ্গ ছিল। দেখতে পুরনো হলেও ঐতিহ্যিক বিচারে গল অনন্য। ১৯৮৮ সালে যার স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো।
দুর্গ থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখছিলাম মূল প্রবেশদ্বারের পূব পাশে ভলিবল খেলছিল ছেলেরা। তার পাশেই টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলছিল কয়েকজন। বাইরে যাওয়ার পর দুর্গটাকে আরেকবার দেখছিলাম। ধারণা করছিলাম, এটি আগে আরো উঁচু ছিল। ক্রমশঃ নিচের দিকে দেবে গেছে সময়ের পরিক্রমায়। কয়েক মিনিট হেঁটে গেলাম গল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে। ততক্ষণে খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। পিচ ঢাকছিলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। এর বা পাশেই বাস স্টেশন। বাসের কন্টাক্টর জানালেন, টিকিট নিতে হবে না। গাড়িতে গিয়ে বসুন। বাসটা এসি করা। নতুন বাস। ভেতরের সবকিছু চমৎকার। মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়ার ব্যবস্থাও ছিল। ফোনটা ইউএসবি পোর্টে কানেক্ট করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস ছাড়ল। গল শহরের সুন্দর পরিচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে গেলাম শহরের বাইরে। ট্রেনের এক মজা, গলে যাওয়ার বাসে আরেক মজা। ট্রেনের সমস্যা হলো টিকিট পাওয়া মুস্কিল, টিকিট পেলেও সিট পাওয়া যায় না। কারণ একটি মাত্র ট্রেন চলে। সে-ও আবার মহা লোকাল। প্রচুর যাত্রী, দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তবে সমুদ্রের পাড় দিয়ে যায় বলে অনেকেই ট্রেনকে বেছে নেন। বাস জার্নি আমার কাছে বেশি ভালো লাগল। সময় কম লাগে। গল থেকে কলম্বো হাইওয়ে খুবই চমৎকার। বাংলাদেশে এখনো ওই মানের কোনো রাস্তা নেই।
ডানে পাহাড়, বামে সমুদ্র। আকাশে মেঘ। দু-পাশে বন-বনানী। সারি সারি গাছ। জঙ্গল, সমতল। ফসলের মাঠ। ঢালু উপত্যকা। গাছের সারি, বাগানের পর একেকটা বাড়ি। আহা, যেন শান্তি নিকেতন!
নারকেল গাছ, লেবু গাছ, সবজি বাগান। নানা রকমের বৃক্ষ লতা পাতা। দুপাশে টিলা, মাঝখানে সবুজ চত্বর। মন বলছিল, এই উপত্যকার পথ ধরে এগিয়ে যাই যতদূর ইচ্ছে। কোন অধরা মায়া হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। ‘কে যেন গো ডেকেছে আমায়’।
বনের ভেতর দু-একটা বাড়িতে সন্ধ্যাবাতি জ্বলে উঠেছিল। পশ্চিমের সূর্য তখন পাটে। মেঘের ফাঁক দিয়ে আবির রাঙা আলো ছড়াচ্ছিল। বনভূমির ওপর ছড়ানো মায়াময় সে আলোয় ভেসে যাচ্ছিল মনোভূমি।
আপনার মতামত লিখুন