সুবর্ণচরে এলজিইডি অফিসে উত্তেজনা: সহকর্মীর প্রতি উপসহকারী প্রকৌশলীর উত্তপ্ত আচরণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়ে দুই কর্মকর্তার মধ্যে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফ মো. নুরুল ইসলামের আচরণে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে বসেছিলেন হিসাবরক্ষক মো. শাহাবুদ্দীন। তবে সহকর্মীদের দ্রুত হস্তক্ষেপে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এলজিইডি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হিসাবরক্ষক মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, “আমি রুটিনমাফিক দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ একটি বিষয় নিয়ে শরীফ স্যারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তিনি হঠাৎ উঠে এসে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন। তখন অফিসের অন্যরা দ্রুত এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
অফিসের একাধিক সূত্র জানায়, উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফ মো. নুরুল ইসলামের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে অসৌজন্যমূলক ও উত্তেজনাপূর্ণ। তিনি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনে সহকর্মীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন, যার ফলে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না।
একজন অফিস সহায়ক, যিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক), বলেন, “সরকারি একটি দপ্তরে এমন আচরণ পুরো পরিবেশের জন্য হুমকি। একজনের প্রতি এমন আচরণ আসলে পুরো কর্মপরিবেশকে প্রভাবিত করে।”
আরেকজন সহকর্মী বলেন, “তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শরীফ স্যার খুব রূঢ় আচরণ করেন এবং তেড়ে যান শাহাবুদ্দীনের দিকে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিই।”
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, “আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। বিষয়টি খুব বড় কিছু ছিল না, তবে ভুল বোঝাবুঝি থেকে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি দুইজনকে আলাদা করে পরিস্থিতি শান্ত করি।”
আপনার মতামত লিখুন